চট্টগ্রামে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
চট্টগ্রামের সেন্ট স্কলাস্টিকা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা নগরের কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন- মো. রকিব উদ্দিন ও সুরজিত পাল। তারা দুইজনই সেন্ট স্কলাস্টিকা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক। এদের মধ্যে মো. রকিব উদ্দিনের বাড়ি নগরের বাকলিয়া এবং সুরজিত পালের বাড়ি নগরের জামালখাল এলাকায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী ছাত্রী স্কলাস্টিকা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। এ সুবাধে চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাস নেওয়া শিক্ষক মো. রকিব উদ্দিন ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস নেওয়া সুরজিত পালের সঙ্গে ২০২৩ সালে ওই ছাত্রীর পরিচয় হয়। এরপর থেকে ওই দুই শিক্ষক বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে কৌশলে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ তলার বাথরুমের পাশে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করার চেষ্টা করে আসছিল। ওই ছাত্রী শিক্ষকদের কথামতো ওই স্থানে না গেলে তারা তাকে ক্লাসে বিভিন্ন ধরনের বকা-ঝকা করতো এবং পরীক্ষায় নম্বর কমিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতেন।
ছাত্রীর মা আরও উল্লেখ করেন, তার মেয়ে ওই শিক্ষকদের প্রস্তাবে রাজি না হলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো। এছাড়া দুই শিক্ষক ফোন করে বিভিন্ন ধরনের আজেবাজে কথাবার্তা বলতো। আমার মেয়ে ভয়ে ঘটনার বিষয়টি কারও কাছে প্রকাশ করেনি।
এজাহারে সর্বশেষ ৯ জুনের ঘটনা উল্লেখ করে ওই ছাত্রীর মা বলেছেন, গত ৯ জুন সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে স্কুলের টিফিন বিরতি দিলে আমার মেয়ে বাথরুমে যাওয়ার সময় শিক্ষক মো. রকিব উদ্দিন ও সুরজিত পাল কৌশলে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ তলার বাথরুমের পাশে নিয়ে যান। তখন দুই শিক্ষক আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। তাদের এমন আচরণে আমার মেয়ে ভীত হয়ে চিৎকার করার চেষ্টা করলে দুই শিক্ষক বিষয়টি কাউকে না জানাতে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয় এবং কৌশলে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। ওইদিন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের সময় স্কুল ছুটি শেষে বাসায় আসার পর থেকে আমার মেয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। তখন তাকে কান্নাকাটি করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে পুরো ঘটনা আমাকে জানায়।